এক নজরে বন্ধু অনলাইন রক্তদান
সংগঠন
সংগঠনের নাম :
বন্ধু অনলাইন রক্তদান সংগঠন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন)।
প্রতিষ্ঠাতা : মাজহারুল ইসলাম জিতু
প্রতিষ্ঠাকাল : ৩০
সেপ্টেম্বর , ২০১৮
মূলমন্ত্র : রক্তে
মোরা বন্ধু গড়ি, রক্ত দিবো জীবন ভড়ি।
মনোগ্রাম ব্যাখ্যা : বন্ধু আছে রক্তের ৮টি উপাদান স্বেচ্ছায় করবো
রক্তদান।
বৈশিষ্ট্য : ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
ক্ষেত্র :
বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সমূহ
আর্থিক যোগান :
বন্ধু অনলাইন রক্তদান সংগঠন কর্মীদের চাঁদা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক সহায়তা।
সদস্য সংখ্যা: ২৪
জন।
কেন স্বেচ্ছায়
রক্তদান করবেন:
আমাদের দেশে প্রতি
বছর প্রায় ১০/১২ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। আর এই প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ হয়
খুবই সামান্য। আর যতটুকু সরবরাহের ব্যবস্থা হয় তার ৬০ ভাগই পূরণ হয় পেশাদার
রক্তদাতাদের কাছ থেকে, পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ একদিকে যেমন
ঝুঁকিপূর্ণ অন্যদিকে তেমনি অস্বাস্থ্যকর। কারণ পেশাদার রক্তদাতারা গ্রহণ করে
বিভিন্ন ড্রাগ এবং শরীরে বহন করে হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি,
এইডস, সিফিলিস এর মত জীবন ধ্বংসকারী বিভিন্ন রোগের জীবাণু।
রক্তদানের যোগ্যতা:
১. বয়স ১৮ থেকে ৫৭
বছরের মধ্যে হতে হবে (নারী ও পুরুষ)।
২. ওজন ৪৮ কেজি
(পুরুষ) ৪৫ কেজি (নারী)।
৩. সময় ১২০ দিন পর
পর অর্থাৎ ৪ মাস পর পর।
৪. শারীরিকভাবে
সুস্থ থাকতে হবে।
রক্তদান আমাদের
ভুলগুলো:
রক্তদান করলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়া, শরীর মুটিয়ে যাওয়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে কাজ করে, যার পুরোটাই আমাদের রক্তদান সম্পর্কে অসচেতনতা ও ভয় থেকে সৃষ্টি। রক্তদান করলে শারীরিকভাবে কোন সমস্যার সৃষ্টি বা অসুস্থ হওয়া এর কোনটাই হয় না। বরং রক্তদান করলে শারীরিকভাবে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়, মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় যা অন্য কোন ভাবে মানুষের উপকারের মাধ্যমে অর্জন সম্ভব নয়।
রক্তদান
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে
নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা
বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ
স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে
যায়।
গবেষণায় পাওয়া গেছে যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায়
তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় রোগ আছে কিনা
তা বিনা খরচে জানা যায়।
প্রতি পাইন্ট (এক গ্যালনের আট ভাগের এক ভাগ) রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি
করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে
পারে।
0 coment rios: